শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর ২০২১ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

‘হলে থাকতে চাইলে গালি খেয়েই থাকতে হবে’

প্রতিবেদক
bdnewstimes
নভেম্বর ২৬, ২০২১ ১০:৫২ অপরাহ্ণ


ইবি করেসপন্ডেন্ট

ইবি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপ। এতে দুই জুনিয়র কর্মীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ ও হুমকি দেন সিনিয়রকর্মী আব্দুল্লাহ আল সাবা হিমু।

হিমু আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ভুক্তভোগী জুনিয়র দু’জন হলেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ফয়সাল হোসেন ও একই সেশনের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের তামজিদ হায়দার জিৎ। তাদের অভিযোগ, কোনরকমের দোষত্রুটি ছাড়াই সিনিয়র হিমু তাদের ডেকে গালিগালাজ করেন। তারা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘হলে থাকতে হলে এভাবেই থাকতে হবে। না হলে নেমে যেতে হবে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মূল ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু হলের অতিথি কক্ষে। সেদিন বঙ্গবন্ধু হলের কয়েকজন সিনিয়র নেতার নেতৃত্বে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের ‘ব্যাচের নাম নির্ধারণ’ সংক্রান্ত সভায় কথা বলেন ওই সেশনের জুনিয়রকর্মী জিৎ। সেখানে তার কথায় মনঃক্ষুন্ন হন সিনিয়রকর্মী হিমু। এই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুম্মার নামাজ পর জিতের বন্ধু ফয়সালকে ফোন করে শেখ রাসেল হলের সামনে দেখা করতে বলেন হিমু।

‘হলে থাকতে চাইলে গালি খেয়েই থাকতে হবে’

তারা সেখানে গেলে হিমু এবং রানা (ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) তাদের গালিগালাজ করেন এবং শাসান। গালিগালাজের বিষয়টি প্রতিবাদ করেন জুনিয়ররা। এসয় সিনিয়রা বলেন, ‘হলে থাকতে হলে গালি খেয়েই থাকতে হবে’। পরে জিৎ ও ফয়সাল হলে ফিরে বন্ধুদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করে এবং সাদ্দাম হোসেন হলের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগ কর্মী হিমেল চাকমা ও শিমুলের কাছে বিচার দেয়। ফলে, হলের দক্ষিণ ব্লকের তিনতলায় উত্তেজনা শুরু হয়।

এসময় সিনিয়ররা বঙ্গবন্ধু হলের দিকে তেড়ে যেতে লাগলে হলের প্রধান ফটকের কলাবসিবল গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে হিমেল চাকমাসহ অন্যদের উপস্থিতিতে ঘটনা কিছুটা শান্ত হলেও পরবর্তীতে বিকেল চারটার দিকে পুনরায় উত্তেজনা শুরু হয়। এসসময় ধ্রুব, জিৎ ও ফয়সালসহ বেশ কয়েকজন জুনিয়র রড, বাঁশ ও লাঠিসোডা নিয়ে হলের প্রাচীর টপকে জিয়া মোড়ে পৌঁছালে সিনিয়র ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দেয় এবং কামরুল ইসলাম অনিক ও বিপুল হোসাইন খানেরা এসে তাদের হলে পাঠিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী জিৎ বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমরা ভদ্রভাবে প্রতিবাদ করতে গেলে পুনরায় তারা হুমকি দেয়। এর আগেও তিনি কয়েকবার আমাদের এভাবে ডেকে অহেতুক শাসান।’

এ বিষয়ে হিমু বলেন, “সিনিয়র হিসেবে তাদেরকে ডেকে একটু কথা বলেছি। হুমকি দেইনি, গালিগালাজও করিনি। ‘সিম্প্যাথি সিক’ করার জন্য হয়ত ওরা বাড়িয়ে বলেছে।”

সারাবাংলা/এমও





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা