মঙ্গলবার , ২৫ মে ২০২১ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

বাড়ির এই চার জায়গায় জুতো পায়ে যাবেন না, অন্যথায় জীবন থেকে দারিদ্র্য ঘুচবে না!

প্রতিবেদক
bdnewstimes
মে ২৫, ২০২১ ১:৪৮ অপরাহ্ণ

কলকাতা: পুরাণে জুতো আর ছাতা কী ভাবে আবিষ্কার হল, তা নিয়ে এক উপভোগ্য কাহিনি আছে। বলা হয় যে একদা ঋষি জমদগ্নি মেতে উঠেছিলেন তীর ছোঁড়ার খেলায়! তিনি তীর ছুঁড়ছিলেন আর তাঁর স্ত্রী রেণুকা সেটা কুড়িয়ে এনে দিচ্ছিলেন। সময়টা ছিল এই বৈশাখ মাসেরই খর গরম! সূর্যের প্রখর তাপে রেণুকার সর্বাঙ্গ যেন ঝলসে যাচ্ছিল, পায়ে ফোসকা পড়ছিল! তাই দৌড়ে গিয়ে তীর নিয়ে আসতে স্বাভাবিক ভাবেই দেরি হচ্ছিল তাঁর।

আর এতেই ঋষি গেলেন ক্ষেপে! রাগের মাথায় তিনি যখন স্ত্রীকে শাপ দিতে যাচ্ছেন, তখন রেণুকা বললেন যে এতে তাঁর কোনও দোষ নেই, দোষ যদি থাকে, তাহলে তা একমাত্র সূর্যের প্রখর তাপের! জমদগ্নি কথাটা ন্যায্য বিবেচনা করে যখন সূর্যকেই শাপ দিতে উদ্যত হলেন, সূর্য তাড়াতাড়ি এসে তাঁকে উপহার দিয়ে গেলেন ছাতা আর জুতো- যাতে তাঁর তেজও বজায় থাকে, সেই সঙ্গে মানুষের কষ্টও না হয়!

এই দিক বিবেচনা করে দেখলে জুতো খারাপ কিছু নয়। তা আমাদের পা দু’টিকে রক্ষা করে তাপ এবং ধুলো থেকে। ঘরের মধ্যেও এই কারণে আমরা অনেকেই জুতো পড়ে থাকি। কিন্তু ওই যে- আমাদের পা পরিষ্কার রাখলেও জুতো তো আর পরিচ্ছন্ন থাকে না, তার তলায় ময়লা লেগেই থাকে, সে যতই ঘরে পরা হোক না কেন! তাই গৃহের অধিষ্ঠাত্রী দেব-দেবীরা জুতো পায়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়ালে অসন্তুষ্ট হন, অপমানিত বোধ করেন। পরিণামে আমাদের জীবন সুখের হয় না।

বাস্তুশাস্ত্র মতে দেখে নেওয়া যাক ঘরের কোন চার জায়গায় জুতো পায়ে একেবারেই যাওয়া উচিত নয়!

১. ভাঁড়ার ঘর- বাড়ির যে অংশে খাদ্যদ্রব্যাদি মজুত থাকে, তাকেই বলা হয় ভাণ্ডার বা ভাঁড়ার ঘর। খাদ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন লক্ষ্মী। তাই বাড়ির এই অংশে জুতো পায়ে গেলে একই সঙ্গে দেবী এবং খাদ্যের অবমাননা করা হয়। পরিণামে দেবীর কোপে গৃহে খাদ্যের জোগানে টান পড়ে, পরিবারকে দারিদ্র্য গ্রাস করে।

২. সিন্দুক- আগেকার দিনে লোকের বাড়িতে বড় বড় সিন্দুকে টাকা রাখা থাকত। এখন সেই ভারি লোহার সিন্দুকের রেওয়াজ না থাকলেও আলমারি তো আছে! তাই ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী এবং ধনাধিপতি কুবেরকে সম্মান দিয়ে সিন্দুক, আলমারি বা যেখানে টাকা রাখা থাকে তার কাছে জুতো পায়ে যাওয়া উচিত নয়। অন্যথায় লক্ষ্মীর কোপে, কুবেরের শাপে জীবনে দারিদ্র্য নেমে আসে।

৩. রান্নাঘর- আজকাল অনেকের বাড়িতে আলাদা করে রান্নাঘর থাকে, অনেকের আবার থাকেও না! এক্ষেত্রে জুতো পায়ে রান্না করা উচিত নয়, তেমনই জুতো পায়ে রান্নাঘরে যাওয়াও উচিত নয়। এতে অন্নদাত্রী দেবী অন্নপূর্ণা অসন্তুষ্ট হন, তাঁর কোপে পরিবারে খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।

৪. ঠাকুরঘর- উপরে লেখা বাড়ির তিন জায়গা পবিত্র তো বটেই, তবে ঠাকুরঘরে তো সাক্ষাৎ দেবদেবীর ছবি বা মূর্তি থাকে, সেখানে পূজার্চনা করা হয়ে থাকে। তাই কখনই ঠাকুরঘরে জুতো পায়ে যাওয়া উচিত নয়, অন্যথায় গৃহদেবতার কোপে পরিবার সর্বনাশের সম্মুখীন হয়!

Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা