নিজস্ব প্রতিবেদক::
জনৈক নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর প্রোপাগাণ্ডা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দৈনিক সমকালে কর্মরত জাকির হোসেন ইমনের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
সোমবার (১ নভেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবী ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলাম জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর করে দেন।
২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলায় জাকির হোসেন ইমনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমানের আদালত এই নির্দেশ দেয়।
আগের দিন ২৭ অক্টোবর বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অপরদিকে গত ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকার নিজ বাসা থেকে জাকির হোসেন ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে নারী সাংবাদিকের নামে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর প্রোপাগাণ্ডা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস) শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এ সময় বক্তারা জাকির হোসেন ইমনের বিচার চেয়ে অবিলম্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সকল সাংবাদিক সংগঠন থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক ইমন ওই ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আপত্তিকর, ভিত্তিহীন কিছু তথ্য গণমাধ্যমের একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন। এছাড়াও একই বার্তা ও পেজ লিঙ্ক শতাধিক সাংবাদিককে ইনবক্সে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলা নং-২৫/তারিখ ২৫/১০/২১।
এই অপপ্রচারের বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)’র সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জাকির হোসেন ইমনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে জাকির হোসেন ইমন ওই নারী সাংবাদিককে নানাভাবে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করে চলছে বলে ভুক্তভোগী জানান।