বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যারের অর্পিত ক্ষমতাবলে এবং জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম স্যারের সার্বিক সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় কর্তৃক আজ ৬ জানুয়ারি ২০২১ চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ্ থানায় তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে ৬ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ১,০৫,০০০/- (একলক্ষ পাঁচ হাজার টাকা) প্রশাসনিক জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে হাইড্রোজ, নকল চেরি, ময়লা ও তেলাপোকাযুক্ত ফিরনি, মেয়াদ বিহীন কাটা ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ দই-মিষ্টি ধ্বংস করা হয়।
এপিবিএন, ৯ এর সহায়তায় উপর্যুক্ত অভিযান পরিচালিত হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক জনাব মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা ও চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
খুলশী থানার টেকনিক্যাল মোড়ের ফাতেমা ফার্মেসীকে মেয়াদবিহীন কাটা ঔষধ সংরক্ষণ করায় ৪,০০০/-জরিমানা করে মেয়াদ বিহীন ঔষধ ধ্বংস করা হয়। গ্রিন বেকারীকে পণ্যের প্যাকেটে উৎপাদন, মেয়াদ, মূল্য উল্লেখ না করা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাদ্য প্রক্রিয়া করায় ১৫,০০০/- জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
আকবরশাহ্ থানার আকবরশাহ্ মাজার রোডের মালেক হোটেলকে হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলিপি তৈরি করায় ৬,০০০/-জরিমানা করে বর্ণিত হাইড্রোজ ও জিলিপি ধ্বংস করা হয়। মিয়াজী স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও রসমালাই রাখায় ১০,০০০/- জরিমানা করে মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও রসমালাই ধ্বংস করা হয়।
অলংকার মোড়ের মক্কা ফুডকে (পরিবেশক মধুবন) কোমল পানীয়ের পাত্রে উল্লেখিত মূল্য ঘষামাজা করে ৩৫ টাকার পণ্য ৬৫ টাকায় বিক্রয় ও মেয়াদোত্তীর্ণ রসমালাই এর মেয়াদ তুলে বিক্রয় করায় ২০,০০০/- জরিমানা করে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
তেলাপোকা, ময়লা-আবর্জনাপূর্ণ স্থানে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণ, কিচেনে খোলা ডাস্টবিন রাখা, রংদেয়া করমচাকে চেরি হিসেবে ব্যবহার এবং ময়লা ও তেলাপোকাযুক্ত ফিরনি বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় অলংকার মোড়ের কুটুম্ববাড়ি রেস্টুরেন্টকে ৫০,০০০/- জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।