মাসুদ সুমন :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ এবং মেয়র আবদুল কাদের মির্জা গ্রুপ এর মধ্য গতকাল স্থানীয় টেকের বাজারে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের একজন সাংবাদিক সহ মোহ ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) নেতাকর্মিদের ওপর হামলা ও গোলাগুলির প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জে সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডাক দেন আবদুল কাদের মির্জা।
এরই ধারাবাহিকতায় ভোর ছয়টায় আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে মির্জা গ্রুপ এর লোকজন পুলিশ কে উদ্দেশ্য করে উস্কানিমূলক শ্লোগান দিলে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব মিলে তাদের কে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এতে অনেক নেতা কর্মী আহত হোন। বর্তমানে বসুর হাটে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। র্যাব,পুলিশ, বিজিবি পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।