বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘বড় বাজেট’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর সুফল একবারে গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছাবে। এখন বাংলাদেশ থেকে কেউ বাইরে গেলে আগে যারা মনে করত আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি, এখন তারা আর মনে করে না। এটাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।’
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভালো না লাগা পার্টি যারা তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না। আমি এটুকু বলব দেশকে দারিদ্রমুক্ত করা, দেশকে উন্নত করা, সমৃদ্ধশালী করা এবং স্বাধীনতার সুফল যেন দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়েছি। ’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, যাদের মানসিক অসুস্থতা আছে। তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত ভালো কিছু করেন না কেন তারা কোনো কিছুতে ভালো খুঁজে পায় না। যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, যখন দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়, তারা কোনো কিছুই ভালো চোখে দেখেন না। তারা সব কিছুতেই কিন্তু খোঁজে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কী গবেষণা করে তা জানি না। তারপরেও তাদের একটা কিছু বলতে হবে। এত সমালোচনা করেও আবার বলবে কথা বলতে পারি না। এই রোগটা তাদের আছে। এটা একটা অসুস্থতার মতো। ’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে সাধারণ জনগণ ভালো আছে কি না। সাধারণ মানুষগুলো ভালো করতে পারছে কি না। ’
প্রসঙ্গত, অসুস্থতা নিয়েই গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বাজেট উত্থাপন শুরু করার কিছুক্ষণ পর অসুস্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাজেট উত্থাপনের অনুরোধ জানান। পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাজেট উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।