বুধবার , ১৬ আগস্ট ২০২৩ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সব রকমের চক্রান্তে লিপ্ত বিএনপি’

প্রতিবেদক
bdnewstimes
আগস্ট ১৬, ২০২৩ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ


সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জানে ইলেকশন করে তারা কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না। জনগণের ভোটও পাবে না। কিন্তু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ইলেকশন যাতে না হয় সেজন্য সব রকমের চক্রান্তে তারা লিপ্ত রয়েছে।

বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকীর স্মরণ সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতক্ষণ বেঁচে আছি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আমার বাবা রক্ত দিয়ে গেছেন এ দেশের মানুষের জন্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলব। কোনো খেলা খেলে বাংলাদেশের ভাগ্য কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকেই সজাগ থাকতে হবে।’

সরকারের টানা মেয়াদে আর্থসামাজিক অগ্রগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, গৃহহীন-ভূমিহীনদের জমিসহ ঘর উপহার দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর দেওয়া শুরু করেছিলাম। আজ আমরা প্রায় ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৬০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দিয়ে তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আর মাত্র ১১ হাজার বা সাড়ে ১১ হাজার বাকি আছে। তাদেরও ঘর তৈরি হবে। এটা হয়ে গেলে দেশে আর কেউ ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকের একটা ঘর থাকবে, একটা ঠিকানা থাকবে।’

‘আমরা দেশের মানুষের জণ্য কাজ করছি’- এটাই অনেকের অন্তরজ্বালা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লুটে খেতে পারছে না। ক্ষমতায় নাই, জনগণকে শোষণ করতে পারছে না। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারছে না। তাই ধোঁয়া তুলছে নির্বাচনের। বিএনপির মুখে নির্বাচনের কথা আসে কোথা থেকে? ভোট চুরির অপরাধে ওই খালেদা জিয়া দুই দুই বার ক্ষমতাচ্যুত। তারপরও তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা। আসল কথা ওরা তো নির্বাচন চায় না। তাদের দুই নেতার একজন এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজনের বিরুদ্ধে তো মানি লন্ডারিং, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, খুন-খারাবি, গ্রেনেড হামলা সবকিছুতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক। সে মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে চলে গেছে- আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না। অথচ এখন ওখানে বসে বসে বড় বড় কথা বলে। আর বলে টাকা কত লাগবে, লোক নিয়ে আসেন। দেশের মানুষের কত টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে একবার চিন্তা করে দেখেন। সেই চোরাই এখন জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর থেকে চক্রান্ত করেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলেছে। এই দেশের মানুষ যখন নৌকায় ভোট দিয়েছে স্বাধীনতা পেয়েছে। আজকে পেট ভরে খেতে পারছে, বিদ্যুৎ পাচ্ছে, রাস্তাঘাট পেয়েছে কর্মসংস্থান হচ্ছে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছি। যারা আপনজন হারায় তারাই বুঝতে পারে এর কষ্ট-ব্যাথা। তারপরও শুধু একটা প্রতিজ্ঞা নিয়েই এসেছিলাম। যে স্বপ্ন ও আদর্শ নিয়ে বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন। সেই স্বাধীনতা লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে। এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এই স্বাধীনতা আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। আর সেই চিন্তা থেকেই সেই শোক-ব্যথা সহ্য করে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি জানি, আমারও সময় হয়তো সীমিত। কতবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। আমার নেতাকর্মীরা আমাকে জীবন দিয়ে বাঁচিয়েছে। তারপরও যতক্ষণ বেঁচে আছি মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। আমার বাবা রক্ত দিয়ে গেছেন এদেশের মানুষের জন্য। রক্ত দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা। আমি, রেহানা যারা আপনজন হারিয়েছি প্রতিনিয়ত সেই রক্তক্ষণ হয় হৃদয়ে। তারপরও শুধু বাংলার মানুষের জন্যই আমাদের এই কষ্ট।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েও গেছি। এখন আমাদের দেশ হবে আধুনিক বিজ্ঞানপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ইনশাল্লাহ এটা আমরা গড়ে তুলব।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম। শুরুতে ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহিদসহ অন্যান্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- দলের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা