ছাএলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি পদে আহসান হাবিব

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আসন্ন ২৯ তম সম্মেলনে আহসান হাবিব কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন। ছাত্রনেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা সকলের কাছে কেমন ছিলো, সেটার অনুসন্ধানী রিপোর্টে তার পজিটিভ কর্মকান্ড বের হয়ে এসেছে।
কলেজ জীবন থেকেই আহসান হাবিবের ছাত্র রাজনীতির হাতে ঘড়ি। কলেজের গন্ডি পেরিয়ে ২০০৭-০৮ সেশনে ভর্তি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও হলে উঠা হয়নি। কারণ তখন হলগুলো নিয়ন্ত্রণ ছাত্রদলের। এদিকে বাড়ি বগুড়া হওয়াতে তিনি চাইলেই হলে ভালো অবস্থানে থাকতে পারতেন। কিন্তু ছাত্রলীগের রাজনীতি ভালোবাসেন বলে, সেই সুযোগ তিনি গ্রহণ করেননি। তাই মেসেই জীবন কাটান নির্বাচনের আগ পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন ছাত্রলীগের বড় ভাইদের সাথে। গোপনে গোপনে ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে সময় দিতেন। এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই পুরোপুরিভাবে হলের ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
ছাত্রলীগের প্রতি আস্থার প্রথম উপহার হিসেবে ২০১১ সালে শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উপ-প্রচার সম্পাদক পদে স্থান পান। পরবর্তীতে কঠোর পরিশ্রম করলেও মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পদ। এরপরেও ছাত্রলীগ রাজনীতি নিয়ে হতাশ হননি। এরপর ২০১৩ সালে হল কমিটি গঠন করলে তিনি সহ-সভাপতি পদে মনোনিত হন। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করলেও তাকে বঞ্চিত করা হয়। কিন্তু এরপরেও হতাশ না হয়ে ছাত্রলীগের নিয়মিত মিছিল-মিটিং এ অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১৩ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন সাবেক হল শাখার সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বহুমুখী প্রদক্ষেপের বাস্তবায়নে কাজ করেন। হলের লাইব্রেরি ও রিডিং রুম সংস্কার, ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নতকরণ থেকে শুরু করে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। হলের আশেপাশে যেখানে মাদকের অবাধ কেনাবেচা চলতো, সেগুলো উৎখাতে তৎপর ছিলেন তিনি। সাধারণ শিক্ষার্থীসহ রাজনৈতিক জুনিয়রদের কাছে তিনি ছিলেন আদর্শ ছাত্রনেতা। তার আদর্শে আকৃষ্ট হয়েই অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে।
তিনি বিশ্বাস করেন যে, জোর করে ছাত্রলীগের রাজনীতি হয় না। নেতাদের মধ্যে এমন গুণ থাকা উচিত, যাকে দেখে অন্য দশটা মেধাবী ছেলে স্বেচ্ছায় ছাত্ররাজনীতিতে আসবে। এভাবে যদি মেধাবীদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আগমণ ঘটে, তবে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া এই ছাত্রলীগ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও ছাত্রলীগকে সবাই জানবে এবং অনুসরণ করবে।
আওয়ামীলীগের রাজনীতির প্রতি আগ্রহটা জন্মায় তার পরিবার থেকেই। কারণ পরিবারের মধ্যে তার বাবাসহ আত্মীয়স্বজন আওয়ামী রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তার বাবা বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলাধীন ৫ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের পদের ব্যাপারে যেসব গুণের কথা উল্লেখ করেছেন, তার সবকিছুই আহসান হাবিবের মধ্যে বিদ্যমান। উপযুক্ত সম্মানের অবস্থানে না থেকেও ছাত্রলীগের কল্যাণে তিনি যে শ্রম দিয়েছেন, সেটা খুবই চোখে পড়ার মত ছিলো। এবার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই বঞ্চিতের মুখে একটু তাকাবেন, এমনটাই প্রত্যাশা তার আদর্শে রাজনীতির সাথে জড়িত শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
0 Comments