কেএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ইফতার সামগ্রী বিতরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের গাটিয়া ডেঙ্গা এলাকায় ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় নয় নারীর নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷
বেশিভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে কেএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শাহজাহানের ইফতার সামগ্রী বিতরণ সম্পর্কে না জেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগামহীন ভাবে সামালোচনা করেই যাচ্ছে ।
তাদের কাছে অনেকেই জানেন না, গাটিয়া ডেঙ্গা এলাকায় শাহজাহানের অবদান সম্পর্কে?
তিনি প্রচারবিমুখ দানবীর একজন ব্যক্তি। প্রতি বছর রমজানে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা গুলোতে খাবার পানি সরবরাহ করে থাকেন।
আমাদের সমাজে যার হাজার কোটি টাকা আছে সে আর টাকা চাই। কারণ আমাদের চাহিদার কোনো শেষ নাই। যত পায় তত চাই।
কিন্তু প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ সমাজেই ব্যতিক্রমও ব্যক্তিত্ব রয়েছেন! তারা সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ সকল ব্যক্তিরা অকাতরে জীবনের সব উপার্জন সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে বেড়ান।
এ রকম ব্যতিক্রমধর্মী মানুষদেরই একজন সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা (হাঙ্গরমুখ) এলাকার কেএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শাহজাহান।
১৯৮৪ সাল থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালনা করছেন কেএসআরএম কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ-এর একটি স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। বড় শিল্পগ্রুপের মালিক হলেও জন্মভূমির সাধারণ মানুষের কথা এক মুহূর্তের জন্যও ভুলে যাননি তিনি। আর তাইতো প্রায় প্রতিবছরই রমজান ও কোরবানির ঈদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ বিভিন্ন সময় গরিব দুঃখী মানুষকে অকাতরে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন কেএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শাহজাহান।
তিনি তার নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের জন্য সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, ঈদগাহ, কবরস্থান, থাকার বাড়িসহ কত কিছুইনা স্থাপন করেছেন তিনি।
এছাড়া উনি রাজনীতি করে মন্ত্রীত্ব বা এমপির আশা করে না। এই জন্য রাজনীতিও করে না। শাহাজাহান সাহেব সমাজিক ও প্রত্যান্ত অঞ্চলে ডাক ডুল পিটিয়ে নয়, ব্যাক্তি গত ভাবে থাকার জন্য বাসস্থান করে দেওয়ার পাশা-পাশি মায়া মুরুব্বিদের হজ্বে প্রেরন করেন। মেয়েদের বিয়ে সাদীর ব্যবস্হা ও অভাবি মানুষ দের কে স্হায়ী ভাবে অভাব দূর করার ব্যবস্হা করার হাজার হাজার নজির আছে।
0 Comments